শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাট পূর্বসূরিদের প্রতি বিদ্বেষ গোপন রাখার ধার ধারেন না। এবার সেই বৈরিতাকে তিনি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। হোয়াইট হাউসে বসানো হয়েছে অপ্রচলিত কিছু নামফলক (প্লাক), যেখানে সাবেক নেতাদের নিয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
৭৯ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এর আগেই ওভাল অফিসের বাইরে সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রতিকৃতির গ্যালারি তৈরি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জো বাইডেনের ছবির বদলে একটি ‘অটোপেন’ (স্বয়ংক্রিয় কলম) স্থাপন করেন।
ট্রাম্পের দাবি, ৮২ বছর বয়সে গত জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়া বাইডেন এতটাই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন যে, তার নামে কী সই করা হতো তা তিনি নিজেই জানতেন না। অটোপেন ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাম্প মূলত সেই বিষয়টিই ব্যঙ্গ করেছেন।
গত বুধবার হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট কলোনেডে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া সাংবাদিকরা লক্ষ্য করেন, সাবেক প্রেসিডেন্টদের ছবির নিচে নতুন কিছু বর্ণনামূলক ফলক লাগানো হয়েছে। সেখানে বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্পর্কে চরম নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামার বর্ণনায় তাকে ‘আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম বিভাজনকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া সেখানে তার নামের মাঝের অংশ ‘হুসেইন’ ব্যবহার করা হয়েছে। ওবামার জন্মস্থান নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য ছড়ানোর সময় ট্রাম্প প্রায়ই তাকে এই নামে ডাকতেন।
অন্যদিকে, জো বাইডেনকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এ যাবতকালের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ফলকটিতে ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের সেই পুরোনো ও বিতর্কিত দাবিটিও আবার লেখা হয়েছে যে, তার কাছ থেকে নির্বাচনের বিজয় ‘চুরি’ করা হয়েছিল।
তবে বর্তমান প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) নিজের বায়ো বা পরিচিতি সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই অত্যন্ত উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, তিনি মাত্র আট মাসে আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। যদিও এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবিশ্বাস্য পরিমাণ বা কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এনেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর হোয়াইট হাউসে এটিই সর্বশেষ পরিবর্তন। এর আগে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এই ধনকুবের একটি বিশাল বলরুম তৈরির জন্য পুরো ইস্ট উইং ভেঙে ফেলেছেন।
এছাড়া ওভাল অফিসসহ অন্যান্য ঘরে প্রচুর পরিমাণে সোনা যোগ করেছেন। এমনকি প্রথা ভেঙে মেয়াদের মাঝেই নিজের প্রতিকৃতি টাঙিয়েছেন তিনি, যেখানে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের ছবি প্রদর্শন করার নিয়ম রয়েছে।