বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৩

সুদানে স্বাস্থ্যকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের 'জোরপূর্বক আটক' করায় উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ-পশ্চিম সুদানের নিয়ালায় ৭০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রায় ৫ হাজার বেসামরিক নাগরিককে আটক করা হচ্ছে এমন খবরে গতকাল মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) মধ্যে এক নৃশংস সংঘাত চলছে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আরও ১ কোটি ২০ লাখ লোককে বাস্তুচ্যুত এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, সুদানের দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ালা থেকে আসা খবরে আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, প্রায় ৫ হাজার বেসামরিক নাগরিকের সাথে ৭০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে জোরপূর্বক আটক করা হচ্ছে।’ 

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কেও বরাত দিয়ে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, আটক ব্যক্তিদের খুবই অস্বাস্থ্যকর ও গাদাগাদি পরিবেশে রাখা হচ্ছে, যার ফলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। 

আরএসএফ এবং সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ গোষ্ঠী এই বছরের শুরুতে নিয়ালা ভিত্তিক একটি জোট গঠন করেছে।

টেড্রোস বলেন, ‘ডব্লিউএইচও আটক ব্যক্তিদের পরিস্থিতি ও অবস্থার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। চলমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী এবং আরও হাজার হাজার মানুষের আটকের খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেসামরিক নাগরিকদের সর্বদা সুরক্ষিত রাখা উচিত এবং আমরা তাদের নিরাপদ এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যসেবার ওপর হামলার ঘটনাগুলো গণনা ও যাচাই করে এবং তথ্য প্রকাশ করে। এটি কোনো তদন্তকারী সংস্থা না হওয়ায় সরাসরি দায়িত্ব আরোপ করে না।

ডব্লিউএইচও এ বছর সুদানে ৬৫টি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। হামলায় এক হাজার ৬শ’ ২০ জন নিহত এবং ২৭৬ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার মধ্যে ৫৪টি হামলা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর, ৪৬টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর এবং ৩৩ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক  বলেন, আমি দক্ষিণ সুদানের কোরডোফান অঞ্চলে “সংঘর্ষ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন।’

তিনি বলেন, ‘আমি সংঘাতের সকল পক্ষ এবং প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার এবং নৃশংসতা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বা সংঘাতের সময় চিকিৎসা  কেন্দ্র এবং কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা যাবে না।