বাসস
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৪৪

পোল্যান্ড সীমান্ত শক্তিশালী করতে সৈন্য পাঠাবে জার্মানি

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাশিয়া থেকে সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্ত শক্তিশালী করতে একটি প্রকল্পে সহায়তার জন্য সৈন্যদল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।

বার্লিন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

মস্কোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের কট্টর সমর্থক পোল্যান্ড গত বছরের মে মাসে বেলারুশ ও রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘ সীমান্ত অংশ জোরদার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

বার্লিনে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র শুক্রবার গভীর রাতে জানান, পোল্যান্ডে অবস্থানরত জার্মান সৈন্যদের প্রধান কাজ হবে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রম’।

তিনি বলেন এর মধ্যে থাকতে পারে দুর্গ নির্মাণ, পরিখা খনন, কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন কিংবা ট্যাংক প্রতিরোধক স্থাপন।

তিনি আরো বলেন, জার্মান সৈন্যদের সহায়তা কেবল এসব ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

মুখপাত্র সৈন্যদের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ না করে জানান, তা হবে মাঝারি ধরনের দুই অঙ্কের সংখ্যা।

মুখপাত্র সঠিক সেনা সংখ্যা উল্লেখ করেননি, তবে বলেছেন এটি হবে ‘মধ্যম পর্যায়ের দুই অঙ্কের সংখ্যা। 

সেনারা ২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত প্রকল্পে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, সেনা মোতায়েনের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। কারণ সৈন্যদের জন্য সামরিক সংঘাত থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ঝুঁকি নেই।

কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া বিদেশে জার্মান সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে ওয়ারশ দৃঢ়ভাবে কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করা অস্ত্র পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে কাজ করছে।

ওয়ারশ তাদের সেনাবাহিনী আধুনিকায়ন করেছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যয়ও বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাঁজোয়া যান পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভে পাঠিয়েছে।