শিরোনাম

ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত টাইলার রবিনসন বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মার্কিন আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আইনজীবীরা মামলাটির প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার সময় টাইলার রবিনসন শান্তভাবে বসে ছিলেন।
এই মামলা আধুনিক আমেরিকার সবচেয়ে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
২২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি উটাহ আদালতে হালকা শার্ট ও টাই পরেছিলেন।
আগের শুনানিতে বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে তাকে কারাগারের পোশাক পরে আদালতে হাজির হতে হবে না।
গত সেপ্টেম্বরে উটাহ কলেজ ক্যাম্পাসে কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় ফলে রক্ষণশীলদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ‘উগ্র বামপন্থীদের’ ওপর দমন-পীড়নের হুমকি দেওয়া হয়।
১০ সেপ্টেম্বরের এই হত্যাকাণ্ডের পরের দিন, ব্যাপক অভিযানের পর রবিনসনকে গ্রেফতার করা হয়।
গুরুতর হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, বড় ধরনের শাস্তি, এমনটি তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রভাবশালী কর্মীর মতামতের কারণে রবিনসন উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ছাদ থেকে কার্ককে গুলি করেন।
দুই সন্তানের জনক কার্ক টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে তার দর্শকদের ব্যবহার করে রক্ষণশীল আলোচনার বিষয়গুলোর জন্য সমর্থন গড়ে তোলেন। এগুলোর মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার আন্দোলনের তীব্র সমালোচনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ঘটনার পর, এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বা জনসমক্ষে কার্ক সম্পর্কে যা বলা বা পোস্ট করা হয়েছিল।
এই পোস্টগুলোকে নিয়ে রক্ষণশীলদের সমালোচনার জেরে বেশ কিছু মানুষ তাদের চাকরি হারান।
কমেডিয়ান জিমি কিমেল অল্প সময়ের জন্য এ-বি-সি নেটওয়ার্কে তার শো থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন সরকারি চাপে। কারণ, তিনি বলেছিলেন যে ট্রাম্পের এমএজিএ-আন্দোলন এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।