শিরোনাম

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সুদানের আধা সামরিক বাহিনী দেশের বৃহত্তম তেলক্ষেত্র হেজলিগ দখলের পর প্রতিবেশী দক্ষিণ সুদানে পালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনারা অস্ত্র সমর্পণ করেছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
হেজলিগ তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ কোরদোফানে দক্ষিণ সুদানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। বিশেষ করে অক্টোবর মাসে প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, চলমান সুদানি গৃহযুদ্ধে এই অঞ্চলটি নতুন করে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
সুদানি সেনাবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর, আরএসএফ সোমবার কৌশলগত এই এলাকা নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। বাহিনীটি তেলক্ষেত্র দখলকে ‘সমগ্র দেশ মুক্তির দিকে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কারণ, এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই বাহিনী সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়।
দক্ষিণ সুদানি জেনারেল জনসন ওলোনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জানান, পালিয়ে আসা সুদানি সেনারা ‘(সোমবার) এসএসপিডিএফ-এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং এখন তারা আমাদের সঙ্গে পানাকুয়াচে অবস্থান করছে’।
এই স্থানটি দক্ষিণ সুদানের ভেতরে।
ওলোনি আরও বলেছেন, ‘আমরা তাদের সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেছি।’
তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের ‘নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি, যাতে আমরা হেজলিগে গিয়ে তেল স্থাপনাটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারি।’
এক সাবেক সুদানি মন্ত্রী হেজলিগের পতনকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি দক্ষিণ সুদানের জন্যও বড় ধাক্কা, কারণ ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীন হওয়ার সময় দেশটি অধিকাংশ তেলসম্পদ ধরে রাখলেও হেজলিগে রয়েছে দক্ষিণ সুদানের রপ্তানিযোগ্য তেল প্রক্রিয়াকরণের প্রধান স্থাপনা।
বিশাল তেলসম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের নবীনতম রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান বছরের পর বছর ধরে অস্থিরতা ও দারিদ্র্যের উচ্চ হারের সঙ্গে লড়াই করছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।