শিরোনাম

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলের সঙ্গে গত জুন মাসে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানে গ্রেফতার হওয়া এক দ্বৈত নাগরিককে শত্রুপক্ষের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। দেশটির বিচার বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।
বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন সংবাদ সংস্থা অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেনি। তাকে শুধু ‘একজন দ্বৈত নাগরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এর আগে, তিনি ইউরোপের একটি দেশে বসবাস করতেন। গত জুন মাসে ওই যুদ্ধের সময় তাকে ইরানে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানের একটি আদালত তার মামলার শুনানি শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে ‘জায়নিস্ট শাসনের স্বার্থে গোয়েন্দা সহযোগিতা ও গুপ্তচরবৃত্তি’র অভিযোগ আনা হয়েছে।
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
মিজানের দেওয়া তথ্য মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তি যুদ্ধ শুরুর এক মাস আগে ইরানে প্রবেশ করেছিলেন।
তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ইসরাইলের মোসাদ গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং ‘ইউরোপের কয়েকটি দেশের রাজধানী ও দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে একজন এজেন্ট’ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তার গ্রেফতারের সময় এবং যে ভিলায় তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখানে উন্নতমানের গোয়েন্দা সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে গত জুন মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের প্রাণঘাতী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
২৪ জুন দুইদেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
যুদ্ধ চলাকালে ইরানি কর্তৃপক্ষ তিন জন ইউরোপীয়কে গ্রেফতারের ঘোষণা দেয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী ফরাসি-জার্মান সাইক্লিস্ট লেনার্ট মন্টারলস। তবে পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত অক্টোবরে ইরান একটি আইন পাশ করে। এতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি আরও কঠোর করা হয়।