শিরোনাম

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ভেনিজুয়েলার ১৭২ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার করাকাসে পৌঁছেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণ বন্ধ’ ঘোষণা করলেও দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে এধরণের ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দিয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
অ্যারিজোনার ফিনিক্স থেকে আসা এই ফ্লাইটটি ছিল চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বহনকারী দ্বিতীয়। এ সময় ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় মাদক পাচারবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ভেনিজুয়েলার বামঘেঁষা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠদের যোগসূত্র রয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় সেনা মোতায়েন করেছে, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরীও সেখানে রয়েছে।
মার্কিন বাহিনী গত কয়েক মাসে ওই অঞ্চলে অন্তত ২০টির বেশি হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছে। তবে এসব হামলার সঙ্গে মাদক পাচারের যোগসূত্রের কোন প্রমাণ তারা দেখতে পারেনি।
মাদুরো বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, এই সামরিক উপস্থিতি তাঁর সরকারকে উৎখাত করা এবং দেশের বিশাল তেলসম্পদ দখলের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
নভেম্বরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিমান সংস্থাগুলোকে ভেনিজুয়েলার আকাশসীমায় উড়তে গেলে ‘চরম সতর্কতা’ নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর প্রায় সব আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা দেশটিতে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
এর কিছুদিন পরই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ভেনিজুয়েলার আকাশসীমাকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসন রোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবারের প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে পাঁচ শিশু, ২৬ নারী এবং ১৪১ জন পুরুষ ছিল বলে জানিয়েছে ভেনিজুয়েলা কর্তৃপক্ষ।
ভেনিজুয়েলার সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তথাকথিত ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তন’ কর্মসূচির আওতায় ফেরত আসা নাগরিকের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৬০ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি লোক যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে।