শিরোনাম

ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে প্রায় ৫০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
কলম্বো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে ১৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে তারা জানান, বর্ষণ তীব্র হলেও গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, সাইক্লোন দিতওয়ার প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ৪৮৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ৩৪১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
রাজধানী কলম্বোসহ আশপাশের এলাকায় বন্যার পানি কমে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার থেকে কমে ১ লাখ ৭০ হাজারে নেমে এসেছে।
রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও বন্যা প্রাণঘাতী ভূমিধস সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে বলেছেন, এটি দ্বীপটির ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ভূমিধস-প্রবণ মধ্যাঞ্চলীয় পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, তারা যেন খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে না যান। এমনকি তাদের বাড়ি ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও। কারণ পাহাড়ি ঢালগুলো এখনও অস্থিতিশীল রয়েছে।
মধ্যাঞ্চলীয় গাম্পোলা শহরে বাসিন্দারা কাদা-পানিতে ক্ষয়ক্ষতি পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তা ও এসেন্সিয়াল সার্ভিসের জেনারেল কমিশনার প্রবাথ চন্দ্রকীর্তি বলেন, কর্তৃপক্ষ একটি ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে ২৫ হাজার রুপি (৮৩ মার্কিন ডলার) প্রদান করছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্গঠনের খরচ ৬-৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চন্দ্রকীর্তির কার্যালয় জানিয়েছে, দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট্রাল প্রদেশের কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ নেই।
প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে শনিবার দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার অঙ্গীকার করেন।