বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:১৯

সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় পৌঁছেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের এক বছরপূর্তির  কয়েকদিন আগে প্রথমবারের মতো এ সফরে গেল জাতিসংঘের শীর্ষ বডির প্রতিনিধি দল।

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যে জাদেইদেত ইয়াবুস সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে এবং তারা বেশ কয়েকজন সিরীয় কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

পরে সংস্থাটি জানায়, প্রতিনিধি দল দামেস্কের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপশহর জোবার পরিদর্শন করেছে।

কূটনীতিকরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে তারা শুক্রবার ও শনিবার প্রতিবেশী লেবানন সফর করবেন।

জাতিসংঘ সিরিয়ায় নিজেদের কার্যক্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তিনি একজন সাবেক জিহাদী, যার বাহিনী গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে।

প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর বহু-জাতিগোষ্ঠী ও বহু-ধর্মবিশিষ্ট দেশটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপান্তরের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্ব করছে স্লোভেনিয়া।

স্লোভেনিয়ার জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল জোগার গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিরিয়া ও লেবানন সফর হলো মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিষদের গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর এবং সিরিয়ায় প্রথম সফর।

তিনি আরও বলেন, সফরটি এ অঞ্চলের জন্য এবং উভয় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তিনি সিরিয়ার রাজনৈতিক পালাবদলে নতুন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা এবং ইসরাইল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লেবাননে এক বছরের অস্ত্রবিরতির বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে জানা, বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং উভয় দেশে নিরাপত্তা পরিষদ যে পথ দেখতে চায়, সে বিষয়ে বার্তা দেওয়ার জন্য এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে।

জোগার উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ-সিরিয়া সম্পর্কের মধ্যে এখনো কিছুটা আস্থার ঘাটতি রয়েছে। আমরা এই সফরের মাধ্যমে তা দূর করার চেষ্টা করছি।