শিরোনাম

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা সাময়িকভাবে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেবে। গত অক্টোবরের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর এই প্রথম আংশিকভাবে সীমান্ত খোলা হচ্ছে।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তারা পাকিস্তানে সীমানা পেরিয়ে হামলা চালায়। তবে, কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারি কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর আনুষ্ঠানিক অনুরোধের ভিত্তিতে পাকিস্তান সরকার সীমিত ও নির্দিষ্ট মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়ার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে, যাতে তাদের কনটেইনারগুলো আফগানিস্তানে যেতে পারে। এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে— খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সামগ্রী।
ওই কর্মকর্তা জানান, তিন ধাপে এ সহায়তা পাঠানো হবে। তবে, প্রথম ধাপ কবে শুরু হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানাননি।
জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তাও এএফপি’কে নিশ্চিত করেছেন, সহায়তা শিগগিরই আফগানিস্তানে প্রবেশ করবে।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তঘেঁষা শহর স্পিন বোলদাকের তথ্য বিভাগের প্রধান এএফপি’কে বলেন, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই এবং সীমান্তের গেট বন্ধ রয়েছে।
গত অক্টোবরের সংঘাতের পর থেকেই সীমান্ত বন্ধ। কেবল পাকিস্তান থেকে বহিষ্কৃত আফগানদেরই পারাপারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তা জানান, সাধারণ বাণিজ্যের জন্য সীমান্ত বন্ধই থাকবে। তবে, শর্তসাপেক্ষে মানবিক সহায়তার জন্য আংশিক খোলা হবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে সাধারণ বাণিজ্য বা অভিবাসন পুনরায় চালু করেনি, আফগান ট্রানজিট ট্রেডও পুনর্বহাল করা হয়নি।’
গত ১২ অক্টোবর সীমান্তে প্রাণঘাতী গোলাগুলির পর সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হলে বেশ কিছু আফগান পণ্যবাহী ট্রাক সেখানে আটকা পড়ায় পণ্য পচে যায়। পরে একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি হয়।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান জয়েন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (পিএজেসিসিআই) বলেছে, সীমান্ত অঞ্চলের দুই পক্ষের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে। উভয় পক্ষ মোট ১০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।