শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৬ সালের জি২০ সম্মেলন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার দাবি, সিদ্ধান্তটি শাস্তিমূলক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো বিকৃত ধারণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জোহানেসবার্গ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল—যা গত সপ্তাহে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে ওয়াশিংটনের অনুপস্থিতির পর চরমে পৌঁছায়।
ট্রাম্প বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
গতকাল বুধবার রাতে প্রিটোরিয়া এর জবাবে জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা নিজস্ব অবস্থানে জি২০-এর সদস্য এবং ব্লকে তার স্থান অন্যান্য সদস্য দেশই নির্ধারণ করে।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা একটি সার্বভৌম সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক দেশ এবং বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে তার সদস্যপদ বা মূল্যায়নের ব্যাপারে অন্য দেশের অপমান পছন্দ করে না।
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা জি২০-এর সব বৈঠকে অংশ নিতে থাকবে।
ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ওপর কথিত ‘ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন’ এবং জোহানেসবার্গ সম্মেলন শেষে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতীকীভাবে জি২০ সভাপতিত্ব হস্তান্তর করতে দক্ষিণ আফ্রিকার অস্বীকৃতি তার এই সিদ্ধান্তের কারণ।
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক স্বল্পপরিসরের অনুষ্ঠানে জি২০ সভাপতিত্ব হস্তান্তর করে। তারা সম্মেলনে উপস্থিত মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিকে এ দায়িত্বের জন্য যথোপযুক্ত পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেয়নি।
এ বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে দেশটিতে কথিত ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ নিয়ে তার দাবি সবচেয়ে বিতর্কিত।
প্রিটোরিয়া জানায়, প্রেসিডেন্ট (সিরিল) রামাফোসা ও তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহালের জন্য বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের দেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য ও বিকৃত ধারণার ভিত্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করে চলেছেন, এটি দুঃখজনক।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে করা মামলাসহ আরো কয়েকটি ইস্যুতেও দু’দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।