শিরোনাম

ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল জুড়ে শনিবার রাতে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) বেগের ঝোড়ো হাওয়ায় গাছপালা ও ট্রাফিক লাইটের খুঁটি উপড়ে গেছে এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ‘ফিনা’ কয়েক দিন ধরে উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে (নর্দান টেরিটরি) অবস্থান করার পর দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি-৩ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
ঝড়টি ব্যস্ত শহর ডারউইন ও উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের জনবিরল টিউই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওই অঞ্চলে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
বিউরো অব মেটিওরোলজির আবহাওয়া পূর্বাভাসকারী অ্যাঙ্গাস হাইনস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ‘অত্যন্ত বিধ্বংসী কেন্দ্র’ নর্দান টেরিটরি পেরিয়ে গেলেও, রোববার দিনজুড়ে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকবে।
নর্দান টেরিটরির চিফ মিনিস্টার লিয়া ফিনোচিয়ারো বলেন, এটি সবার জন্যই ‘ভয়ানক একটি রাত’ ছিল।
তিনি জাতীয় সম্প্রচারক এবিসিকে বলেন, ‘আমি সারারাত ব্রিফিংয়ের অপেক্ষায় ছিলাম এবং সৌভাগ্যবশত কোনো আহতের খবর নেই। তবে সর্বত্র গাছপালা উপড়ে পড়েছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে ছাদ থেকে ভারী বৃষ্টি পড়ছে এবং বিশাল গাছ উপড়ে বাড়ির আঙিনা ও রাস্তায় পড়েছে।
রয়্যাল ডারউইন হাসপাতালের একটি অংশের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ইট ও ধ্বংসস্তূপ করিডোরজুড়ে ছড়িয়ে থাকে।
ফেডারেল এমপি লুক গোসলিং জানান, বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, তবে মানুষ আগে থেকেই ঝড়ের আঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘ডারউইনে সবাই সবাইকে সাহায্য করে। যারা বহুদিন ধরে এখানে আছেন এবং আগের সাইক্লোনগুলোর অভিজ্ঞতা আছে, তারা এখানকার নতুন বাসিন্দা ও উদ্বিগ্নদের পরামর্শ দেন।’
বর্তমানে ফিনা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার দিকে সাগরপথে এগোচ্ছে এবং পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এটি ক্যাটাগরি-৪ ঝড়ে পরিণত হতে পারে।
তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে।
গবেষকরা বারবার সতর্ক করে আসছেন যে, মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।