শিরোনাম

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী আফগান সীমান্তের কাছে বৃহস্পতিবার দুটি হামলা চালিয়ে ২৩ জঙ্গিকে হত্যা করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এ সব হামলা চালানো হয়।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, জঙ্গিরা পাকিস্তানি তালেবান বা এর সহযোগী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।
তাদের মদদ দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ ভারতকে অভিযুক্ত করেছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় এই অভিযান চালানো হয়।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে সীমান্তবর্তী জঙ্গিবাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশ থেকে বিদেশি মদদপুষ্ট ও সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে পাকিস্তান পূর্ণ গতিতে ও সর্বশক্তিতে কাজ করবে।
ইসলামাবাদ নিয়মিতভাবে কাবুলের বিরুদ্ধে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)সহ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। এ সব গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই পাকিস্তানে মারাত্মক হামলা চালায়।
পাকিস্তান সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ভারতের বিরুদ্ধেও দেশটির অভ্যন্তরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেওয়ার দাবি করেছে।
তবে প্রতিবেশী উভয় দেশই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহে ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়।
আফগানিস্তান থেকে ওই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে পাকিস্তান দাবি করে।
তবে পাকিস্তানি তালেবানের একটি অংশ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটেছে। গত মাসে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে বছরের পর বছর ধরে চলমান লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়।
সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং সীমান্ত এখনও বন্ধ রয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশী দেশ দুটি একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েক দফা আলোচনার পরেও এর শর্তাবলী চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং উভয় পক্ষই অচলাবস্থার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে।