বাসস
  ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯

বৈমানিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট সম্পর্কে মার্কিন সরকারের গোপন নথি প্রকাশ

ঢাকা, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আর্কাইভস শুক্রবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর দিয়ে ১৯৩৭ সালে উড়ে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হওয়া আমেরিকান বৈমানিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট সম্পর্কিত নতুন সরকারি নথির একটি অংশ প্রকাশ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সহযাত্রী ফ্রেড নুননের সাথে বিশ্বভ্রমণের জন্য একটি বিমান নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ইয়ারহার্ট নিখোঁজ হন এবং তার নিখোঁজ হওয়া বিমান চলাচলের ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর রহস্যগুলোর মধ্যে একটি।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বর মাসে ইয়ারহার্টের দুর্ভাগ্যজনক শেষ ফ্লাইট সম্পর্কিত সকল মার্কিন সরকারি নথি  প্রকাশ করার নির্দেশ দেন।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, শুক্রবার প্রকাশিত নথিতে ‘জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নতুনভাবে প্রকাশ করা নথি, ইয়ারহার্টের সর্বশেষ যোগাযোগের তথ্য, সেই সময়কার আবহাওয়া এবং বিমানের অবস্থা এবং সম্ভাব্য অনুসন্ধানের স্থানসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

গ্যাবার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, শ্রেণীবদ্ধকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর একটি অংশ জাতীয় আর্কাইভের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হবে।

শুক্রবার অনলাইনে প্রকাশিত হাজার হাজার নথির মধ্যে অনেকগুলো জাতীয় আর্কাইভ পূর্বে প্রকাশ করেছিল।  বিমান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে সাম্প্রতিক উপকরণগুলোতে ইয়ারহার্টের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

ইয়ারহার্টের শেষ ফ্লাইটটি কয়েক দশক ধরে ইতিহাসবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এসেছে এবং অসংখ্য বই, চলচ্চিত্র ও নানান ধরনের তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে।

ইয়ারহার্ট ১৯৩২ সালে প্রথম নারী হিসেবে একাই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৩৭ সালের ২০ মে, ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড থেকে বিশ্বজুড়ে উড্ডয়নে প্রথম নারী হওয়ার আশায় যাত্রা শুরু করেন।

তিনি এবং নুনান ১৯৩৭ সালের ২ জুলাই নিখোঁজ হন, যখন তারা জ্বালানি ভরার জন্য পাপুয়া নিউ গিনির লায় থেকে যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া এবং হাওয়াইয়ের মধ্যে একটি ছোট মার্কিন ভূখণ্ড, হাওল্যান্ড দ্বীপের দিকে একটি চ্যালেঞ্জিং ২৫০০ মাইল (৪০০০ কিলোমিটার) উড়ানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।