শিরোনাম

ঢাকা, ২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ল্যুভর জাদুঘরে গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আরও দুই সন্দেহভাজননের বিরুদ্ধে শনিবার অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ফরাসি প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ।
প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
দুর্ধর্ষ এ চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
প্যারিসের প্রসিকিউটর লর বেকো বলেন, সর্বশেষ অভিযুক্ত ৩৮ বছর বয়সি এক নারী ও ৩৭ বছর বয়সি এক পুরুষকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আদালতে হাজির হওয়ার সময় ওই নারী কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, তিনি নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
ওই নারীর বিরুদ্ধে সংগঠিত চুরি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, প্যারিসের উত্তরাঞ্চলীয় উপশহর লা কুরনুভে বসবাসকারী এই নারীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ ‘ষড়যন্ত্রে যোগসাজশের আশঙ্কা’ ও ‘জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার ঝুঁকি’ রয়েছে।
অন্যদিকে পুরুষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও একাধিক চুরির মামলা ছিল। শুনানির আগ পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটর বেকো বলেন, উভয় অভিযুক্তই ডাকাতির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
গত মাসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দিনের আলোয় লুভর জাদুঘরে হানা দেয়। এ সময় তারা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাত্র সাত মিনিটে প্রায় ১০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের গয়না নিয়ে পালায়।
প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই পুরুষকে গ্রেফতারের কথা জানায় ফরাসি কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহে প্রসিকিউটর জানায়, আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে মূল সন্দেহভাজনও রয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতার নারীর আইনজীবী অ্যাড্রিয়ান সোরেন্টিনো বলেন, তার মক্কেল অভিযোগগুলো জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।
অ্যাড্রিয়ান সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমার মক্কেল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ল্যুভরের ঘটনাটি ছিল নাটকীয় ডাকাতি, আর আজকের সিদ্ধান্তটিও একইভাবে নাটকীয়। কারণ এক তরুণীকে অভিযোগ প্রমাণের আগেই আটক রাখা হয়েছে।’
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে মুক্তি পাওয়া আরেক ব্যক্তির আইনজীবী সোফিয়া বোগ্রিন বলেন, কিছু লোককে অযাচিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি এএফপিকে আরও বলেন, এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে জাল দিয়ে মাছ ধরার মত করে নির্বিচারে গ্রেফতারের ঘটনা দেখা যায়।