বাসস
  ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৮

পানির নিচে নতুন ‘মানব আবাস’: সারা সপ্তাহ ধরে গবেষণা সম্ভব 

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : বিজ্ঞানীরা যাতে টানা কয়েকদিন পানির নিচে অবস্থান করে গবেষণা করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ‘পানিরতলে মানব আবাস’ বা ভ্যানগার্ড ডিজাইন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ডিপ।

মিয়ামি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সংস্থাটি বুধবার ফ্লোরিডার মিয়ামিতে একটি হ্যাঙ্গারে এটির প্রাথমিক নমুনা বা প্রোটোটাইপ উন্মোচন করে। আশা করা হচ্ছে, সমুদ্রবিজ্ঞানীসহ অন্যান্য গবেষকরা এটি ব্যবহার করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সমুদ্র তলদেশে অবস্থান করতে পারবেন। বর্তমানে অভিযানগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়ে থাকে।

ডিপের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং ভ্যানগার্ডের মূল প্রকৌশলী নর্ম্যান স্মিথ এএফপিকে বলেন, ‘সমুদ্রের এমন অনেক অঞ্চল আছে, যেখানে সর্বোচ্চ গভীরতায় গিয়ে কখনও গবেষণা করা হয়নি। গবেষকরা এবার সেসব স্থানে গিয়ে বিজ্ঞানের নতুন জগৎ উন্মুক্ত করবে। 

বর্তমানে ভ্যানগার্ডগুলো মাত্র ২০ মিটার (৬৫ ফুট) গভীরে অবস্থান করছে। স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমেই সেখানে পৌঁছানো সম্ভব। তবে সংস্থাটি ইতোমধ্যেই ২০০ মিটার (৬৫০ ফুট) গভীরে যাওয়া সম্ভব এমন প্রোটোটাইপের ওপর কাজ করছে।

নতুন যানটিতে মোট তিনটি অংশ রয়েছে: আবাসন চেম্বার, ডাইভিং সেন্টার এবং মূল কাঠামো। প্রথম অংশটি ১২ মিটার (৪০ ফুট) লম্বা ও ৩.৭ মিটার (১২ ফুট) চওড়া। সেখানে বিজ্ঞানীরা খাওয়া, ঘুমানো ও কাজ করার জন্য ব্যবহার করবেন। এটি সামুদ্রিক পানির চাপ সহ্য করতে সক্ষম এবং সর্বোচ্চ চার জন সেখানে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবে।

‘ডাইভিং সেন্টার’টি পানির নিচে মূল কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। পুরো আবাসনটিকে তরঙ্গ ও ঝড় থেকে রক্ষা করতে মূল কাঠামো সমুদ্রতলের সঙ্গে স্থাপন করা হবে।

পানিরতলে মানব আবাস বা ভ্যানগার্ডের ভাসমান কাঠামোও থাকবে। সেটি বাতাস সরবরাহ করবে, যানটিকে চালু রাখবে এবং বাইরে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে।

কয়েক সপ্তাহ পর ডিপ প্রথমবার ফ্লোরিডার উপকূলে এসব নতুন ভ্যানগার্ড স্থাপন করবে। সংস্থাটি আশা করছে, বিজ্ঞানীরা এটি ব্যবহার করে সমুদ্র তলদেশে প্রবাল প্রজাতি পুনরুদ্ধারে মত দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করতে পারবেন।