বাসস
  ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৩

জলবায়ু অভিযোজনে ‘জীবনদায়ী’ তহবিল সংস্থান অপ্রতুল : জাতিসংঘ

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ বুধবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছে, ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল যোগাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

প্যারিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক ও ব্যয়বহুল প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রচেষ্টা— যেমন প্রতিরক্ষামূলক সমুদ্রপ্রাচীর নির্মাণ, খরাসহিষ্ণু ফসল রোপণের বিষয়টি অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে যাচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী ঝড়, বিধ্বংসী বন্যা, তাপদাহ ও দাবানল বাড়ছে। এটি  মানুষের তেল, গ্যাস ও কয়লা পোড়ানোর কারণে সৃষ্ট তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফল।

তবে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) সর্বশেষ অ্যাডাপটেশন গ্যাপ  রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিশ্রুত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে রয়েছে।

রিপোর্টে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের  প্রভাব দ্রুত বাড়ছে। অথচ অভিযোজন অর্থায়ন তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সমুদ্রের পানির উচ্চতাবৃদ্ধি, প্রাণঘাতী ঝড় এবং তীব্র তাদদাহের মুখে পড়ছে।

২০২১ সালে ধনী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বার্ষিক সরকারি অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই অর্থায়ন ২০২২ সালের ২৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে কমে ২৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

রিপোর্টের ভূমিকায় ইউএনইপি প্রধান ইনগার অ্যান্ডারসেন বলেন, এখন এই প্রবণতা বদলাবে বলে মনে হয় না।  এটি দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং অনেক বেশি মানুষ অপ্রয়োজনে কষ্ট ভোগ করবে।

রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন অর্থায়ন  ৩১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রয়োজন হবে,  যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।

অ্যান্ডারসেন বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্ব অব্যাহত থাকলে, এই প্রভাব আরও ভয়াবহ হবে, আরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে।