শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘রাজতন্ত্র নেই’ এমন দাবিতে দেশে বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা রাজতন্ত্রপ্রেমী এই রাজপুত্রের জন্য নিখুঁত উপহার খুঁজে পেয়েছেন আর সেটি হচ্ছে সোনার মুকুট।
ট্রাম্প বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে দেখা করেছেন।
এই সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ঐতিহাসিক দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী গিয়ংজুতে এক জাঁকজমকপূর্ণ স্বাগত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটিয়ে, ট্রাম্পকে সিল্লার রাজাদের পরা মুকুটের একটি রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয়।
সিল্লা রাজবংশ ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উপহারটি সিল্লা আমলের সোনার মুকুটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও অসামান্য।’
ট্রাম্পকে অবগত করা হয় যে, এটি ‘স্বর্গীয় ও পার্থিব নেতৃত্বের মধ্যে ঐশ্বরিক সংযোগ’ উপস্থাপন করে।
সিউলের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, মুকুটটি ‘উপদ্বীপে শান্তি, সহাবস্থান, অংশিদারিত্ব ও সমৃদ্ধির প্রতীক সিল্লা রাজবংশের দীর্ঘ স্থিতিশীলতার যুগের মূল্যবোধের প্রতিফলন।
ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে রাজতন্ত্রের প্রতি তার ভালোবাসার কথা গোপন রাখেননি।
দেশব্যাপী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমাবেশ হয়েছে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে হওয়া সমাবেশগুলোকে উপহাস করেছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি মুকুট পরে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর ‘কিং ট্রাম্প’ লেখা আবর্জনা ছুঁড়ে মারছেন।
মার্কিন নেতাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অফ মুগুংওয়া’ প্রদান করা হয়।
সমৃদ্ধির প্রতীক একটি লরেল পাতার নকশার পদকটি সম্পর্কে ট্রাম্পকে বলা হয় ‘কোরীয় উপদ্বীপে আপনি যে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনবেন তার প্রত্যাশায়’ এটি আপনাকে দেওয়া হয়েছে।
এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি একটি মহান সম্মান। আমি এখনই এটি পরতে চাই।’
ট্রাম্পের সোনার প্রতি ভালোবাসাও সুপরিচিত। এই সপ্তাহে টোকিও সফরের সময় তাকে সোনার প্রলেপ দেওয়া গল্ফ বল উপহার দেওয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে যে বুধবার ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে একটি ‘সোনার থিমযুক্ত মিষ্টি’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা ‘জোটের স্থায়ী আস্থা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি দুই দেশের অংশীদারিত্বের অঙ্গীকারের প্রতীক।’