শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবাহী চারটি নৌযানে হামলা করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন বাহিনীর ওই হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের বিতর্কিত এই মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেপ্টেম্বরের শুরুতে হামলা শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযানটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য, যদিও এটি পরিচিত মাদক পাচারকারীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। মার্কিন হামলায় ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ১৪টি জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, গত সোমবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত তিনটি হামলায় ১৪ জন ‘মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন এবং একজন বেঁচে গেছে। তিনি বলেন, মার্কিন অভিযানের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এটি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা চারটি জাহাজ সম্পর্কে অবগত ছিল। ওই চারটি জাহাজ পরিচিত মাদক পাচারের রুট ধরে চলাচল করত এবং মাদক বহন করছিল।
হেগসেথ মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা তাদের ট্র্যাক করব, তাদের নেটওয়ার্ক ভাঙব, আর তারপর তাদের শিকার করব ও হত্যা করব।’
কিন্তু ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ প্রকাশ করতে পারেনি যে তার লক্ষ্যবস্তু মাদক পাচার করছিল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল।
পেন্টাগণ প্রধান এক পোস্টে হামলার এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে প্রথমটি দুটি স্থির নৌকাকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে যেগুলো একসাথে নোঙ্গর করা ছিল বলে মনে হয়েছে। অন্যগুলো পানির ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে আসা জাহাজগুলোকে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে।
হেগসেথ বলেন, মার্কিন দক্ষিণ কমান্ড (সাউথকম) তাৎক্ষণিকভাবে হামলার একমাত্র জীবিত ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেছে এবং মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গ্রহণ করেছে এবং উদ্ধারের সমন্বয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।