বাসস
  ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৭

অস্ট্রেলিয়ার ১৬ বছরের নিচে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে মেটা ও টিকটক

ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা ও টিকটক মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার ১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, এই যুগান্তকারী আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া ১০ ডিসেম্বর থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের সরিয়ে দিতে বাধ্য করবে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রকরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদের সাথে লড়াই করছে, তখন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপক বিধিনিষেধ কার্যকর হতে পারে কিনা তা নিয়ে গভীর আগ্রহ রয়েছে।

টিকটক ও মেটা, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান উভয়েই বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন কঠিন হবে, তবে তারা তা মেনে চলতে রাজি।

মঙ্গলবার এক সিনেট শুনানিতে সংস্থাটির অস্ট্রেলিয়া নীতিনির্ধারক প্রধান এলা উডস-জয়েস বলেন, ‘সহজ করে বলতে গেলে, টিকটক আইন মেনে চলবে এবং আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।’

কাগজে-কলমে, নিষেধাজ্ঞাটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে একটি।

তবে কার্যকর হতে মাত্র এক মাসেরও বেশি সময় বাকি। অস্ট্রেলিয়া প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংস্থাগুলোর বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত মূল প্রশ্নগুলো পূরণ করার জন্য হিমশিম খাচ্ছে।

টিকটক সতর্ক করে বলেছে, এই বয়সভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

উডস-জয়েস বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা তরুণদের এমন অন্ধকার অনলাইন জগতে ঠেলে দেবে, যেখানে কোনো সুরক্ষা নেই।’

মেটার নীতি পরিচালক মিয়া গারলিক বলেন, সংস্থাটি এখনো ‘অসংখ্য চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করছে।

তিনি জানান, ১০ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যেই ১৬ বছরের নিচের কয়েক লাখ ব্যবহারকারীকে সরিয়ে ফেলতে কাজ করছে মেটা।

তিনি বলেন, ‘তবে এই অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্ত ও অপসারণ করা এখনো ‘গুরুত্বপূর্ণ নতুন প্রকৌশল ও বয়স যাচাইকরণ চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে মূল লক্ষ্য হলো আইন মেনে ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের সরিয়ে ফেলা।’

কর্মকর্তারা পূর্বে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে সমস্ত ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করতে হবে না। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সনাক্ত এবং নিষ্কিয় করার জন্য ‘যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ’ নিতে হবে।

যেসব কোম্পানি এই আইন মানবে না, তারা সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৫ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে।