বাসস
  ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৪

২০২১ সালের পর ২৮টি ‘কার্বন বোমা’ প্রকল্প চালু হয়েছে: এনজিওগুলোর সতর্কতা

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : একদল আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সোমবার সতর্ক করে বলেছে ২০২১ সালের পর থেকে জলবায়ুর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টিকারী অন্তত ২৮টি  ‘কার্বন বোমা’ প্রকল্প চালু হয়েছে। প্যারিস খেকে এএফপি এ খবর জানায়।

‘কার্বন বোমা’ বলতে এমন তেল, গ্যাস বা কয়লা উত্তোলন প্রকল্পকে বোঝায়, যা তাদের আয়ুষ্কালের পুরো সময় জুড়ে এক বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ঘটাতে পারে। ২০২২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকেরা এমন ৪২৫টি প্রকল্পের তালিকা করেছিলেন।

২০২১ সালে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) ঘোষণা দিয়েছিল- নতুন কোনো তেল বা গ্যাস প্রকল্প শুরু করা ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এর দুই বছর পর, কপু২৮ সম্মেলনে বিশ্বের দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে সম্মত হয়।

সর্বশেষ এ হিসাব দিয়েছে চারটি সংস্থা— লিংগো, ডাটা ফর গুড, রিক্লেইম ফাইন্যান্স, এবং এক্লেরসি।

তারা জানিয়েছে, এখনো প্রায় ৩৬৫টি প্রকল্প এক বিলিয়ন টনের বেশি নির্গমন ঘটাচ্ছে। এই সংখ্যা আগের তুলনায় কম হলেও তা হয়েছে উৎপাদন হ্রাস বা নতুনভাবে মূল্যায়নের কারণে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রকল্পের ৪৩ শতাংশ চীনে, ৯ শতাংশ রাশিয়ায়, এবং ৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

যদিও পশ্চিমা তেল কোম্পানিগুলোর প্রকল্পের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, কিন্তু সৌদি আরামকো এবং চীনের সিএইচএন এনার্জি সর্বাধিক নির্গমন ঘটাচ্ছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে আরও ২,৩০০টির বেশি ছোট উত্তোলন প্রকল্প শনাক্ত করা হয়েছে, যা ২০২১ সালের পর অনুমোদিত বা চালু হয়েছে। প্রত্যেকটির সম্ভাব্য নির্গমন পাঁচ মিলিয়ন টনের বেশি— যা প্যারিস শহরের বার্ষিক নির্গমনের সমান।

গবেষকদের হিসাবে, সব প্রকল্প মিলিয়ে সম্ভাব্য কার্বন নির্গমন বিশ্বের অবশিষ্ট ‘কার্বন বাজেট’-এর ১১ গুণ বেশি, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে শিল্প-পূর্ব সময়ের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্রয়োজন।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই লক্ষ্যমাত্রা বর্তমান দশকের মধ্যেই অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বের ৬৫টি বৃহত্তম ব্যাংক এসব প্রকল্পে জড়িত কোম্পানিগুলোকে ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার) অর্থায়ন করেছে।