শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বে ইসরাইলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
বৈরুত থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
রোববার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টায়ার প্রদেশের নাকোরায় একটি গাড়িতে ‘ইসরাইলি শত্রুদের হামলায়’ একজন নিহত হয়েছেন এবং দেশটির পূর্ব বালবেক অঞ্চলের নবী শিটে একটি গাড়িতে আরেকটি হামলায় আরো একজন নিহত হয়েছেন।
পরে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বালবেক এলাকার আল-হাফির শহরে আরো একটি হামলায় একজন সিরিয়ান নাগরিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
প্র্রায় বছরব্যাপী যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইল লেবাননের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল প্রায়শই বলে আসছে তারা হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পূর্ব লেবাননে আলী হুসেইন আল-মুসাভিকে হত্যা করেছে। তাকে ‘হিজবুল্লাহর পক্ষে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং চোরাচালানকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে আব্দ মাহমুদ আল-সায়েদ নামে একজন স্থানীয় হিজবুল্লাহ প্রতিনিধিকেও হত্যা করেছে।
ইসরাইল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামলা তীব্র করেছে। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে, জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত এএফপি’কে বলেছেন, লেবাননে বেসামরিক যানবাহনের ওপর মারাত্মক ইসরাইলি হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ইসরাইল দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে ইসরাইলি সেনাদের দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর উত্তরে ফিরে যেতে হবে এবং দক্ষিণে যে কোনো সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে এবং ইসরাইলি হামলা বৃদ্ধির আশঙ্কায়, লেবাননের সরকার হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণ শুরু করেছে। কিন্তু, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে আন্দোলন এবং তার মিত্ররা।
যুদ্ধবিরতির শর্ত থাকা সত্ত্বেও, ইসরাইল কৌশলগত বলে মনে করা পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্টে সেনা মোতায়েন রেখেছে।