শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস): সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দাবি করেছে, তারা পশ্চিম দারফুরের আল-ফাশের শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি ছিল অঞ্চলটির শেষ বড় শহর যা এখনও আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, তারা ‘ভাড়াটে ও মিলিশিয়াদের কবল থেকে আল-ফাশের শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে’—যা সুদানের সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত।
আরএসএফ-এর দাবি এএফপি যাচাই করতে পারেনি। দেশটির সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররাও আরএসএফ-এর মন্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এর আগে আরএসএফ জানায়, তারা শহরের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে অবরুদ্ধ ছিল।
স্থানীয় সেনা-সমর্থক গোষ্ঠী ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স’ আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে মনোবল দুর্বল করার’ অভিযোগ এনে জানায়, শহরের বাসিন্দারা এখনও ‘সন্ত্রাসী মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
গত আগস্ট থেকে আরএসএফ আল-ফাশেরে কামান ও ড্রোন হামলা জোরদার করে, যার ফলে ১৮ মাসের অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীর শেষ প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়ে।
রোববার প্রকাশিত আরএসএফ-এর ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর যানবাহন সদর দপ্তর থেকে পিছু হটছে এবং যোদ্ধারা ষষ্ঠ পদাতিক ডিভিশনের ঘাঁটিতে উল্লাস করছে।
যদি এই দখল নিশ্চিত হয়, তবে এটি সুদানের দুই বছরের গৃহযুদ্ধে একটি বড় মোড় ঘোরানো ঘটনা হবে, যেখানে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এতে দারফুর অঞ্চলের পাঁচটি রাজ্য রাজধানীই আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে এবং নিয়ালায় গঠিত তাদের সমান্তরাল প্রশাসন আরও শক্তিশালী হবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এতে সুদান কার্যত বিভক্ত হয়ে যেতে পারে—উত্তর, পূর্ব ও কেন্দ্রীয় অঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং দারফুর ও দক্ষিণের কিছু অংশ আরএসএফ-এর অধীনে।
আল-ফাশেরে এখনও প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে, যাদের অর্ধেকই শিশু।