শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এশিয়া সফরে যাওয়ার পথে বিমানে জ্বালানি নেওয়ার জন্য একটি যাত্রাবিরতির সময় কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা গাজার শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কাতারের দুই নেতা আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ট্রাম্পের এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে উঠে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই ঘাঁটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক সদর দফতর অবস্থিত এবং এখানেই হাজারো মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় কাতারের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল সানিকে ‘বিশ্বের বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রুবিও সম্প্রতি গাজা যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরাইল সফর করেছেন।
বৈঠক শেষে নেতারা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।
জানুয়ারি মাসে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর। এই সফরে তিনি দুটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় কাতার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও তুরস্কের সঙ্গে কাতারই ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বর্তমান ভঙ্গুর শান্তিচুক্তির অন্যতম গ্যারান্টার।
চলতি সপ্তাহে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তারা গাজায় নিরাপত্তা বাহিনী গঠন ও হামাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনাসহ চুক্তির পরবর্তী সংবেদনশীল ধাপগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন।
গাজা যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইল আক্রমণের পর থেকেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছেন।