শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সালভাদোরান নাগরিক কিলমার আব্রেগো গার্সিয়াকে লাইবেরিয়ায় নির্বাসন দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার আদালতের একটি নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কিলমারকে চলতি মাসের শেষের দিকে লাইবেরিয়ায় পাঠানো হতে পারে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আব্রেগো গার্সিয়ার ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। তাকে মার্চ মাসে ভুলবশত সালভাদরে পাঠানো হয় এবং জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, তিনি এমএস-১৩ গ্যাংয়ের এক সহিংস সদস্য, যিনি অবৈধ অভিবাসীদের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তার আইনজীবীরা তার বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং গত আগস্টে এক ফেডারেল বিচারক তাকে উগান্ডায় পাঠানোর প্রচেষ্টা আটকে দেন।
শুক্রবারের নথিতে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তারা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়াকে ‘বহিষ্কারের জন্য উপযুক্ত স্থান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যেহেতু আব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবীরা সেই দেশটিকে আগেই বাতিল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেননি।
সরকারপক্ষের আইনজীবীরা মেরিল্যান্ডের একটি ফেডারেল আদালতে দাখিল করা নথিতে বলেন, ‘লাইবেরিয়া একটি বিকাশমান গণতন্ত্র এবং আফ্রিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।’
সরকার আরও জানায়, লাইবেরিয়া একটি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ এবং ‘শরণার্থীদের মানবিকভাবে আচরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তারা উল্লেখ করে যে, এই বহিষ্কার ‘আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সম্পন্ন করা যেতে পারে।’
আব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবীরা এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ কোনো মন্তব্য করেননি।
২০১৯ সালে এক বিচারক রায় দেন যে নিজ দেশে তার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তাকে বহিষ্কার করা যাবে না।
সেই রায়ের ভিত্তিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ সুরক্ষিত মর্যাদায় বসবাস করছেন।
তবে মার্চ মাসে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আরও ২০০ জনের সঙ্গে সালভাদোরের সিকোট কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে বিচার বিভাগ স্বীকার করেছে যে, প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে আব্রেগো গার্সিয়াকে ভুলবশত বহিষ্কার করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে কয়েক মাস পরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু টেনেসিতে মানব পাচার মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়— যা মেরিল্যান্ডের মামলার থেকে আলাদা।
ডানপন্থী সমর্থকরা এ ব্যাপারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করলেও, আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীরা এর সমালোচনা করে বলেছেন যে যথাযথ আদালতের শুনানি ছাড়াই মানুষকে বহিষ্কারের এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ, যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক আইনের পরিপন্থী।