শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ভেনিজুয়েলা শুক্রবার ১৮ জন কলম্বিয়ান বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তির পর তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন কোনও অভিযোগ ছাড়াই মাসের পর মাস আটক ছিলেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং একজন নারী। দীর্ঘ কয়েক মাসের সংলাপ ও কূটনৈতিক সমন্বয়ের পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সীমান্তবর্তী শহর কুকুটা থেকে দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রী রোজা ভিলাভিসেনসিও বলেন, তাদের বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পর ১৮ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
কলম্বিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, কারাকাসে গুপ্তচরবৃত্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভেনিজুয়েলার কারাগারে আরও ২০ জন কলম্বিয়ান আটক রয়েছেন।
অন্যদিকে, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো জানান, তার দেশের কারাগারে কমপক্ষে ৫০ জন কলম্বিয়ান বন্দী রয়েছে। এসব বন্দিকে ‘ভাড়াটে সৈনিক’ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
বেসরকারি সংস্থা ফোরো পেনালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনিজুয়েলায় প্রায় ৮৪৫ জনকে রাজনৈতিক কারণে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘সহিংসতা বা ঘৃণা উস্কে দেওয়া থেকে শুরু করে ‘সন্ত্রাসবাদ’-এর মত নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশটিতে ১০ থেকে ৩০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।
বোগোটা মাদুরোর ২০২৪ সালের পুনর্নির্বাচনকেও স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। তারা বরাবরই ভেনিজুয়েলায় আটক সব কলম্বিয়ান নাগরিকের মুক্তি দাবি করে আসছে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিবেশী দু’দেশের সম্পর্ক কিছুটা ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান বিষয়ে যৌথ বিরোধিতার কারণে।
ওই অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ জেলে ও মৎস্যজীবী।
যদিও মাদুরোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযান তার সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনারই অংশ।