বাসস
  ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:০৭

জাতিসংঘ সাহায্য প্রধান বিধ্বস্ত গাজা সফরে ‘ব্যাপক কাজ’ করার পূর্বাভাস দিয়েছেন

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ সাহায্য প্রধান শনিবার বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মৌলিক চাহিদা পুনরুদ্ধারের বিশাল কাজের পর্যালোচনা করেছেন। 

জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়

জাতিসংঘের সাদা জিপের একটি ছোট বহর নিয়ে ত্রাণ সমন্বয়কারী টম ফ্লেচার এবং তার দল গাজা শহরের উত্তরে শেখ রাদওয়ানে একটি বর্জ্য পানি শোধনাগার পরিদর্শন করতে ভাঙা বাড়িগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে যান।

তিনি এএফপি’কে বলেছেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে আমি গাড়ি চালিয়ে এখান দিয়ে গিয়েছিলাম। তখন এই ভবনগুলোর বেশিরভাগই দাঁড়িয়ে ছিল এবং এখন ধ্বংসস্তূপ দেখতে দেখতে এটি শহরের একটি বিশাল অংশ কেবল একটি মরুভূমি। এটি দেখতে একেবারেই বিধ্বংসী’।

দুই বছরের বোমাবর্ষণ এবং হামাস ও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের ফলে গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার মাত্র এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরেও মিশরের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংটি এখনও খোলা হয়নি। তবে ইসরাইলি চেকপয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক আসে এবং সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে।

- ল্যাট্রিন খনন -

শেখ রাদওয়ান বর্জ্য পানি কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত পাম্পিং সরঞ্জাম এবং পয়ঃনিষ্কাশনের ভয়াবহ হ্রদ জরিপ করে ফ্লেচার বলেন, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর সামনের কাজটি ‘বিশাল, বিশাল কাজ’।

ব্রিটিশ কূটনীতিক বলেন, তিনি ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসা বাসিন্দাদের সাথে দেখা করেছেন যারা ধ্বংসস্তূপে শৌচাগার খননের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে বলছে, তারা সবচেয়ে বেশি মর্যাদা চায়’। ‘আমাদের বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করতে হবে যাতে আমরা স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক করতে পারি’।

‘আমাদের এখন ৬০ দিনের একটি বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে যাতে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, প্রতিদিন দশ লক্ষ খাবার সরবরাহ করা যায়। স্বাস্থ্য খাত পুনর্নির্মাণ শুরু করা যায়। শীতের জন্য তাঁবু আনা যায় ও লক্ষ লক্ষ শিশুকে স্কুলে পাঠানো যায়।’

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বেসামরিক বিষয়ক সংস্থা কর্তৃক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে সরবরাহকৃত এবং জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইসরাইল থেকে সাহায্য ও বাণিজ্যিক সরবরাহ বহনকারী প্রায় ৯৫০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।

ত্রাণ সংস্থাগুলো খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের প্রবাহ দ্রুত করার জন্য মিশর থেকে রাফা সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ খুঁজে পেতে তুরস্ক সীমান্তে অপেক্ষা করছে উদ্ধার বিশেষজ্ঞদের একটি দল।