শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : হামাস শুক্রবার রাতে ইসরাইলের কাছে আরও এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজার ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনও নিখোঁজ থাকা সমস্ত মৃত বন্দীকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকায় হামাস এই জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করল।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইল একজন মৃত জিম্মির কফিন পেয়েছে।’ ওই মৃত বন্দীকে গাজায় তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে’ এবং ইসরাইলের একটি চিকিৎসা বিশ্লেষণ কেন্দ্রে তার পরিচয় শনাক্ত করা হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী শুক্রবার রাতে হস্তান্তরিত দেহাবশেষ বাদ দিয়ে, জীবিত ২০ জন জিম্মিকে এবং ২৮ জন নিহত ব্যক্তির মধ্যে নয়জনের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে।
বিনিময়ে, ইসরাইল তার কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে এবং ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া সামরিক অভিযান বন্ধ রয়েছে।
গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহ: ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার ‘সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার’ দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি তা করতে ব্যর্থ হয় তবে সামরিক বাহিনী পুনরায় যুদ্ধ শুরু করবে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজী হামাদ শুক্রবার এই হুমকিগুলোকে ‘অগ্রহণযোগ্য চাপ কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন।
হামাদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মৃতদেহের বিষয়টি জটিল এবং সময়ের প্রয়োজন, বিশেষ করে দখলদারিত্ব গাজার ভূদৃশ্য বদলে দেওয়ার পর।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৃতদেহ ফেরত দেব এবং প্রতিশ্রুতি অনুসারে চুক্তি মেনে চলব।’
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া দেহাবশেষ উদ্ধারে সহায়তা করার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে। কিন্তু দলটি শুক্রবারও ইসরাইলি ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে।
একজন তুর্কি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘ইসরাইল কখন তুর্কি দলকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি উল্লেখ করেন দলের মিশনে ফিলিস্তিনি এবং জিম্মিদের দেহাবশেষ উভয়কেই খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য।
হামাসের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তুর্কি প্রতিনিধিদল রোববারের মধ্যে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা উদ্ধারকারী বাহিনী বলেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৮০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।