শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামফারা রাজ্যে বৃহস্পতিবার দস্যুদের গুলিতে আট নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। জামফারা রাজ্যের গভর্নর এবং পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
নাইজেরিয়ার রাজধানী বাকু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জামফারা হচ্ছে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যের একটি। যেখানে বহু বছর ধরে ‘দস্যু’ নামে পরিচিত অপরাধী দলগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা গবাদি পশু চুরি করে। গ্রামে হামলা চালায়। বাসিন্দাদের অপহরণ ও হত্যা করে এবং বাড়িঘরে লুট ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
এই দলগুলো জামফারা, কাতসিনা, কাদুনা, সোকোটো, কেব্বি এবং নাইজার রাজ্যের বিস্তৃত একটি বিশাল বনে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং সেখান থেকে তারা সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালায়।
একদল দস্যু স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে (১২০০ জিএমটি) জামফারা ও কাতসিনা রাজ্যের সংযোগকারী একটি মহাসড়কে টহলরত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বহরে গুলি চালায়।
জামফারা রাজ্যের গভর্নর দাউদা লাওয়াল ডেয়ার ফেসবুকে বলেছেন, ‘গুসাউ-ফুন্টুয়া সড়কে ডাকাতদের আক্রমণে পুলিশ এবং কমিউনিটি প্রোটেকশন গার্ড (সরকার-সমর্থিত মিলিশিয়া) সহ আটজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে।’
জামফারা পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অসংখ্য সশস্ত্র দস্যু’রা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ‘পাঁচজন সাহসী পুলিশ সদস্যকে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করেছে।
তবে, তাদের বিবৃতিতে হামলায় নিহত তিন মিলিশিয়ার কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী দস্যুদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে লিপ্ত হয় এবং সেখানে বেশ কয়েকজন দস্যু ‘নিহত’ হয়, যদিও বাকিরা পালিয়ে যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দস্যুরা প্রায়ই মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয়, যানবাহনে গুলি চালায় এবং যাত্রীদের হত্যা বা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে। এ কারণে নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী।
২০১৫ সাল থেকে জামফারায় দস্যুদের দমনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তবে হামলা থামেনি। সরকারি সাধারণ ক্ষমা ও নগদ প্রণোদনাও সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
কাদুনা ও কাতসিনা রাজ্যের সম্প্রদায়গুলো দস্যুদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করছে। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দস্যুরা হয়তো শুধু নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করছে, যেখান থেকে তারা আরো হামলা চালাতে পারে।
যদিও এসব গ্যাং মূলত আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করে। উত্তর-পূর্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালানোর জন্য জিহাদিদের সাথে তাদের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।