শিরোনাম
ঢাক, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে গতকাল রোববার নতুন করে ইবোলা মহামারির বিরুদ্ধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। এই ভাইরাসে আগস্টের শেষের দিক থেকে দেশে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কিনসাসা থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মধ্য কাসাই প্রদেশের হটস্পট শহর বুলাপেতে মারাত্মক ইবোলা ভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে ৪শ’ ডোজের প্রথম চালান বিতরণ করা হয়েছে।
বিশাল মধ্য আফ্রিকান দেশটিতে ইবোলার সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব তিন বছর আগে ঘটেছিল এবং ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এটি সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। যার ফলে
৩,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার কঙ্গোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০ আগস্ট ৩৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী মহিলার প্রথমবারের মতো সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে ২৮ জন মারা গেছেন এবং ৮১ জন রোগী নিশ্চিত শনাক্ত হয়েছেন।
ডব্লিউএইচও মনে করে, সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে ঘোষিত এই মহামারিতে মৃত্যুর হার প্রায় ৩৫ শতাংশে দাঁড়াবে।
ডব্লিউএইচও’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম টিকা বিতরণ করা হয়েছিল।
যার মধ্যে ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মী এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শেও ছিলেন।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা আরো জানিয়েছে, কঙ্গোতে আরো ৪৫ হাজার টিকা সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে ভ্যাকসিন সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী গ্রুপ।
১৯৭৬ সালে কঙ্গোতে ইবোলা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। তখন দেশটি জাইরে নামে পরিচিত ছিল।
গত অর্ধ শতাব্দীতে শারীরিক তরলের সাথে সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে আফ্রিকায় প্রায় ১৫ জন মারা যায়।
এই রোগে মারাত্মক রক্তপাত এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারিতে মৃত্যুর হার ২৫ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে রেকর্ড করেছে।
বিজ্ঞানীরা ইবোলা ভাইরাসের ছয়টি প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে জাইরে প্রজাতিটি সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
জাইরে প্রজাতিটির জন্য একটি টিকা থাকলেও বাকি সবগুলো টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি।