বাসস
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১২

নিরাপত্তা চুক্তির বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা চলছে: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট 

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : একটি নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সিরিয়ার আলোচনা চলছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন।

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই চুক্তি হলে, গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর ইসরাইল সিরিয়ার যেসব এলাকা দখল করে রেখেছে, তা ছেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ৮ ডিসেম্বর ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন বাহিনী আসাদকে উৎখাত করার পর, ইসরাইল গোলান মালভূমিতে বাফার জোনে সৈন্য মোতায়েন করে। 

গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের ৩০টির বেশি বসতি রয়েছে। যেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। 

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই বসতি অবৈধ। যদিও এ নিয়ে ইসরাইলের আপত্তি আছে।

গোলান মালভূমির যে অঞ্চলে ইসরায়েল বসতি স্থাপন করছে, সেখানে ইসরাইলিদের পাশাপাশি প্রায় ২০ হাজার সিরীয় বসবাস করে। তারা মূলত দ্রুজ আরব। 

ইসরায়েল যখন ওই অঞ্চলের দখল নেয়, তখন দ্রুজ আরবরা তাদের বসতি ছেড়ে যায়নি। 

অঞ্চলটি ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইলি যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইলি ও সিরিয়ার বাহিনীকে পৃথক করে রেখেছে।

ইসরাইল সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের গভীরে অনুপ্রবেশ করেছে। 

সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ হামলার বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আলেখবারিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, ‘আমরা এখন একটি নিরাপত্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা এবং সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

তিনি আরো বলেন, ইসরাইল বিশ্বাস করে যে, আসাদের পতনের পর সিরিয়া ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ‘ত্যাগ’ করেছে। ‘যদিও সিরিয়া প্রথম মুহূর্ত থেকেই এই চুক্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে।’

শারা বলেন, ‘এখন ৮ ডিসেম্বরের আগে ইসরাইলকে যেখানে ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।’

ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ১৯৪৮ সাল থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দুটি দেশ যুদ্ধে লিপ্ত।

গত মাসে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি ও ইসরাইলি কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার প্যারিসে সাক্ষাৎ করেছেন এবং মারাত্মক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর দ্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুয়েইদা প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়াও গত মাসে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেছেন যে, ইসরাইল দক্ষিণ সিরিয়ার সামরিকীকরণের লক্ষ্যে আলোচনা করছে।