শিরোনাম
ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে অবশ্যই একটি চুক্তি মেনে নিতে হবে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরাইল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এবার হামাসকেও মানতে হবে। আমি হামাসকে সতর্ক করেছি, শর্ত না মানলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এটি আমার শেষ সতর্কবার্তা।’
ট্রাম্প এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কথা বলেন।
এর কিছুক্ষণ পরই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার টেবিলে বসতে’ প্রস্তুত।
এর আগে তারা ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমেরিকান পক্ষের কিছু প্রস্তাবের কথা’ বর্ণনা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ গত সপ্তাহে হামাসকে গাজায় জিম্মি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য একটি নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস প্রস্তাব সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে রোববার রাতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আপনারা খুব শীঘ্রই এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ তিনি এই আলোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করেছেন।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কিছু খুব ভালো আলোচনা হয়েছে এবং ভালো কিছু ঘটতে পারে। আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই গাজা নিয়ে আমাদের মধ্যে একটি চুক্তি হতে চলেছে।’
গত মার্চের শুরুতে, ট্রাম্প হামাসকে একই রকম আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
ওই সময় তিনি হামাসের উদ্দেশে বলেছিলেন, অবিলম্বে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে ও নিহত ব্যক্তিদের লাশ হস্তান্তর করতে হবে। যদি না হয়, ‘আপনার জন্য সবকিছু শেষ।’
ইসরাইলি প্রচারণা গোষ্ঠী হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ হস্তক্ষেপকে ‘সত্যিকারের অগ্রগতি’ বলে একে স্বাগত জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এ সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এর মধ্যে ৪৭ জন এখনো গাজায় আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ২৫ জন নিহত। ইসরাইল তাদের লাশ ফেরত চাইছে।