বাসস
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৬

বেইজিংয়ে সি চিনপিং ও পুতিনের আলোচনা শুরু

ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার বেইজিংয়ে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনা শুরু করেছেন।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়। 

উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনসহ বিশ্ব নেতারা বুধবার বেইজিংয়ের কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য চীনের রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আজ সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের 

সি চিনপিং এই সপ্তাহে একাধিক কূটনৈতিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে উত্তরের শহর টিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিতি। চীন এই ফোরামটিকে পশ্চিমা-প্রধান আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি বিকল্প হিসেবে দেখছে।

সোমবার শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার  এই দুই নেতা পশ্চিমা সরকারগুলোর সমালোচনা করেন।  সি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে, কিছু দেশের ‘হুমকির’ সমালোচনা করেন । অন্যদিকে পুতিন সংঘাতের সূত্রপাতের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরেন।

পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে মস্কো এবং বেইজিং ‘সীমাহীন অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করেন। তখন থেকে সম্প্রসারিত সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পশ্চিমাদের অনেকটাই সমস্যায় ফেলেছে।

চীন কখনও রাশিয়ার যুদ্ধের নিন্দা করেনি বা তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়নি।  ইউক্রেনের অনেক মিত্র বিশ্বাস করে যে বেইজিং মস্কোকে সমর্থন দিয়েছে।

তবে চীন জোর দিয়ে বলে যে তারা একটি নিরপেক্ষ পক্ষ, নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানায় এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার অভিযোগও করে।

সি এবং পুতিন নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। গত মাসে তাদের এক ফোনালাপে চীনা নেতা বলেন মস্কো এবং ওয়াশিংটন তাদের সম্পর্কের উন্নতি দেখে তিনি খুশি। 

৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজিদের পরাজয় উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত মে মাসে সি চিন পিং রাশিয়ার মস্কো সফর করেন।

ওই সফরে সি বলেন, চীন ও রাশিয়া ‘রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস ও কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করেছে এবং জটিল অশান্তিতে ভরা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে মূল্যবান স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করেছে।