বাসস
  ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৫:০৫

জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ ত্রাণ কর্মীদের বহরের গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা  

ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : গাজার অবৈধ অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কর্মীদের বহনকারী একটি নৌবহর রোববার বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজকরা এ তথ্য জানান।

বার্সেলোনা থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘একটি মানবিক করিডোর খুলতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে’ জাহাজগুলো স্প্যানিশ বন্দর নগরী থেকে যাত্রা করবে।

তবে কতগুলো জাহাজ এবং কখন যাত্রা করবে তা তারা জানায়নি।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপকূলীয় ছিটমহলে ফ্লোটিলা পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রাজিলিয়ান কর্মী থিয়াগো আভিলা গত সপ্তাহে বার্সেলোনায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ইতিহাসের বৃহত্তম সংহতি মিশন হবে, যেখানে পূর্ববর্তী সমস্ত প্রচেষ্টার চেয়ে বেশি লোক এবং বেশি নৌকা থাকবে।’ 

আয়োজকরা বলছেন, ৪ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া এবং অন্যান্য ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ফ্লোটিলার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য থানবার্গ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ৪৪টি দেশে কর্মীরা একযোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাবে।

থানবার্গের পাশাপাশি, ফ্লোটিলায় বেশ ক’টি দেশের কর্মী, ইউরোপীয় আইন প্রণেতা এবং বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আদা কোলাউয়ের মতো জননন্দিত ব্যক্তিত্বরা এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

 বামপন্থী পর্তুগিজ আইনপ্রণেতা মারিয়ানা মোর্তাগুয়া মিশনে যোগ দেবেন। তিনি গত সপ্তাহে লিসবনে সাংবাদিকদের বলেন,  ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি আইনি মিশন।’

পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা: গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা একটি স্বেচ্ছাসেবি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এটি কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।

জুন ও জুলাই মাসে গাজায় জাহাজে করে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্মীদের দু’টি প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে ইসরাইল আটকে দিয়েছে।

জুন মাসে পালতোলা নৌকা ম্যাডলিনে থাকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিল, তুরস্ক, সুইডেন, স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসের ১২ জন কর্মীকে গাজার ১৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ইসরাইলি বাহিনী আটক করে।

থানবার্গসহ এর যাত্রীদের আটক করা হয় এবং অবশেষে বহিষ্কার করা হয়।

জুলাই মাসে, ১০টি দেশের ২১ জন কর্মী হান্দালা নামে আরেকটি জাহাজে গাজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও আটক করা হয়।

সম্প্রতি গাজার মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জাতিসংঘ এই মাসে  অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে সতর্ক করেছে যে পাঁচ লাখ মানুষ  সেখানে ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।