বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৯

বিক্ষোভের মুখে লেবানন সফর সংক্ষিপ্ত করলেন মার্কিন দূত

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রয়োগের ঘটনায় আজ বুধবার বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন দূত টম ব্যারাক দক্ষিণ লেবাননে তার সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।

আল খিয়াম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, মার্কিন দূত ব্যারাক বুধবার হেলিকপ্টারে করে সীমান্তবর্তী মারজাইউনের একটি সেনাঘাঁটিতে পৌঁছান। সেখানে আগে থেকেই সেনা মোতায়েন ছিল। পরে ব্যারাক তার সফর সূচিতে থাকা নিকটবর্তী খিয়াম ও উপকূলীয় শহর টাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে খিয়াম শহর ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়।

মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র  জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মকর্তাদের সফর সূচি নিয়ে তারা মন্তব্য করতে পারবেন না। 

আল খিয়ামে এএফপি’র একজন সংবাদদাতা জানান, সেখানে কিছু সংখ্যক বাসিন্দা বিক্ষোভ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হিজবুল্লাহর পতাকা ও সংঘাতে নিহত যোদ্ধাদের ছবি প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ একটি নীল রঙে আঁকা ‘স্টার অব ডেভিড’-এর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর পাশে আরবিতে লেখা ছিল, ‘আমেরিকা বড় শয়তান’ এবং ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘ব্যারাক ইজ এনিম্যাল’।

ব্যারাক গতকাল মঙ্গলবার বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনের বলেন, ‘ভদ্রভাবে আচরণ করুন, এটি যদি বিশৃঙ্খল ও পশুর মতো আচরণ হয়, আমরা চলে যাব।’ তার এই মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভকারীরা ‘ব্যারাক ইজ এনিম্যাল’ বলে প্রতিক্রিয়া জানান।

দক্ষিণের পৌর ইউনিয়নের কর্মকর্তা বিলাল কাশমার জানান, টাইরেতে বুধবার ডজনখানেক মানুষ ব্যারাকের সম্ভাব্য সফর ও ওয়াশিংটনের ‘পক্ষপাতদুষ্ট নীতির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপ এবং ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কার মধ্যেই লেবানন সরকার চলতি মাসে সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে।

দেশটির দক্ষিণে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তবে তারা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের সঙ্গে চলা সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

আরেক মার্কিন দূত মর্গান ওর্তাগাস গতকাল মঙ্গলবার বৈরুতে বলেন, ‘লেবানন সরকারকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ইসরাইলও একইভাবে সাড়া দেবে।’

হিজবুল্লাহর দাবি, ইসরাইলকে প্রথমে লেবানন থেকে পুরোপুরি সরে যেতে হবে এবং চলমান হামলা বন্ধ করতে হবে। এরপর অস্ত্রের প্রশ্নে আলোচনা হবে।