বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৫:১৫

চাদে শরণার্থী শিবিরে কলেরা প্রাদুর্ভাবে ৬৮ জনের মৃত্যু

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : প্রতিবেশী চাদে সুদানের শরণার্থীদের এক শিবিরে জুলাইয়ের শেষের দিকে কলেরা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এএফপিকে এ তথ্য জানায়।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী এবং প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে শুরু হওয়া মারাত্মক গৃহযুদ্ধের পর থেকে পালিয়ে আসা ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি সুদানী শরণার্থীর আবাসস্থল চাদ।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে এনজামেনা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

এই শরণার্থীদের অনেকেই এমন শিবিরে আটকা পড়ে আছেন যেখানে নিরাপদ পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিতান্তই অপ্রতুল। জাতিসংঘ সোমবার পানিবাহিত রোগটির দ্রুত বিস্তারের জন্য এই ঘাটতিকে দায়ী করেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ পরিচালক তাদজাদিন মাহামাত আল্লামামিন বলেন, ‘ডগুই শরণার্থী শিবিরে প্রথম কলেরা রোগী রেকর্ড হওয়ার পর থেকে ২৬ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৬৮ জন মারা গেছে।’

কলেরা হল একটি তীব্র অন্ত্রের সংক্রমণ যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এটি তীব্র ডায়রিয়া, বমি এবং পেশীতে টান সৃষ্টি করে।

কলেরা চিকিৎসা না করা হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে, যদিও সাধারণ খাবার স্যালাইন বা আরও গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মতে, ২০২৩ সাল থেকে সুদান কলেরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, এই বছর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।