শিরোনাম
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে বুধবার ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি এলাকায় বড় ধরনের বসতি স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ইসরাইল বহুদিন ধরেই পূর্ব জেরুজালেমের ঠিক পাশে প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ‘ই-১’ নামের অঞ্চলে বসতি গড়ার পরিকল্পনা করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে সেই পরিকল্পনা দীর্ঘ বছর ধরে স্থগিত ছিল।
সমালোচকরা বলছেন, এই বসতি প্রকল্প ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আশা নষ্ট করবে। কেননা এর রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেম পরিকল্পনায় রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরাইলের চরম দক্ষিণপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জেরুজালেম ও ইসরাইলি বসতি মা’লে আদুমিমের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত অত্যন্ত সংবেদনশীল এক এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৪০০টি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনাকে সমর্থন দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ওই এলাকায় ইসরাইলি বাড়ি নির্মাণ করা হলে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সংঘাতের সমাধান হিসেবে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে’র আশা চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।
মা’লে আদুমিমের মেয়র গাই ইয়িফরাখ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অল্প কিছুক্ষণ আগে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ই-১ পাড়ায় নির্মাণ পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়েছে।
১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সব বসতিই আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসরাইলি পরিকল্পনার অনুমোদন থাকুক বা না থাকুক, সেগুলো মূলত সবই অবৈধ।
ইসরাইলি বসতি স্থাপন বিরোধী সংগঠন ‘ইর আমিম’-এর গবেষক আভিভ টাটারস্কি বলেন, ‘বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এটি ইসরাইলের একটি সচেতন পদক্ষেপ।’ তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে জরুরি ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
পশ্চিম তীরের বসতি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী ইসরাইলি এনজিও ‘পিস নাউ’ গত সপ্তাহে বলেছিল, ই-১ এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হতে পারে এবং এক বছরের মধ্যে বাসা-বাড়ি নির্মাণ শুরু হতে পারে।
পূর্ব জেরুজালেম বাদ দিলে পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি এবং প্রায় ৫ লাখ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।