শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের কাছে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়ায় ৩৬ জন আলাভি নারী ও কিশোরী অপহৃত হওয়ার বিশ্বস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে উল্লেখ করে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসলামপন্থীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ নিজে আলাভি সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মার্চ মাসে সিরিয়ার উপকূলীয় আলাভি অধ্যুষিত অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যায় প্রায় ১,৭০০ জন (মূলত আলাভি বেসামরিক নাগরিক) নিহত হয় বলে এক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে।
এক তদন্ত কমিটি বলেছে, তারা মার্চ মাসের গণহত্যার ঘটনায় নারী ও কিশোরী অপহরণের কোনো প্রতিবেদন পায়নি। কিন্তু অ্যামনেস্টির মতে, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে লাতাকিয়া, তারতুস, হোমস ও হামা প্রদেশে অন্তত ৩৬টি অপহরণ ও গুমের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে তারা ৮টি ঘটনা বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করেছে।
সংগঠনটি বলছে, পরিবারগুলো এসব ঘটনা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জানালেও, প্রায় সব ক্ষেত্রেই তদন্তে ব্যর্থতা দেখা গেছে। এমনকি দুইটি ক্ষেত্রে পরিবারগুলোকেই দায়ী করা হয়েছে। এই আটজন ভুক্তভোগীর মধ্যে মাত্র দুজন তাদের পরিবারে ফিরে এসেছে।
অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড বলেন, ‘পূর্ববর্তী গণহত্যায় ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত আলাভি সম্প্রদায় এখন এই নতুন অপহরণের ঘটনায় ভয়াবহভাবে আতঙ্কিত। নারীরা এখন বাড়ির বাইরে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে এখনই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও অপহরণ ও গুমের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জাতিসংঘের সিরিয়া তদন্ত কমিশন গত মাসে জানিয়েছিল, তারা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে অন্তত ছয়জন আলাভি নারী অপহরণের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে এবং আরও কিছু অভিযোগ পেয়েছে যেগুলোর বিশ্বস্ততা যাচাই করা হয়েছে।