শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চলে রোববার দুটি পৃথক হামলায় এক শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কুইটো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাদক পাচারকারী চক্র মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে। মাদক চক্রগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এসব হামলা চালানো হতে পারে।
গত বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে, দেশটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে সহিংস দেশ হয়ে উঠেছে।
২০২৪ সালে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রাথমিক হামলার পর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল এমপালমের পুলিশ প্রধান মেজর অস্কার ভ্যালেন্সিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই হামলায় প্রায় ১২ জন নিহত ও তিন জন আহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, একই হামলাকারীরা দ্বিতীয়বার অপর একটি ভিড়ের মধ্যে গুলি চালিয়ে আরও দুই জনকে হত্যা করে।
ভ্যালেন্সিয়া আরো বলেন, দুটি পিকআপ ট্রাকে করে ভ্রমণকারী হামলাকারীরা ‘পিস্তল ও রাইফেল’ দিয়ে বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালায়।
তিনি বলেন, ‘তারা সকলের ওপর গুলি চালিয়েছে।’
নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে বলে জানান তিনি।
একটি মদের দোকানের দরজায় মৃতদেহ পড়ে ছিল আর রাস্তার পাশের ফুটপাতে তার আত্মীয়স্বজনরা কাঁদছিলেন।
তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৪০টি ব্যালিস্টিক আলামত পেয়েছেন বলে পুলিশের ওই প্রধান কর্মকর্তা জানান।
ইকুয়েডরে মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সহিংসতা ও দ্বন্দ্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্দুক হামলার ঘটনাগুলোও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ইকুয়েডরে ৪ হাজার ৫১টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত জেনারেল ভিলামিলের পর্যটন কেন্দ্রের একটি পানশালায় পুল খেলার সময় নয় জন নিহত হয়।
আন্তর্জাতিক মাদকচক্রগুলোর সম্প্রসারণের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার এক সময়কার শান্তির ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত ইকুয়েডর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
মাদক চক্রগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক চালানের জন্য দেশটির বন্দর ব্যবহার করে।