শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইরানি কূটনীতিকরা শুক্রবার জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের কূটনীতিকদের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করবেন।
আলোচনার মূল বিষয় হবে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ‘স্ন্যাপব্যাক’ পুনরায় কার্যকর করার হুমকি।
ইস্তানবুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকটি হবে জুনের মাঝামাঝি ইরানের ওপর ইসরাইলের হামলার পর প্রথম বৈঠক। ওই হামলায় ১২ দিনব্যাপী যুদ্ধের শুরু হয়েছিল, এতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইসরাইলের ওই হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার, পারমাণু বিজ্ঞানী ও শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। হামলা থেকে বাদ যায়নি আবাসিক এলাকাগুলোও। এই হামলা এপ্রিল থেকে চলমান যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক আলোচনা নিয়েও বাধা সৃষ্টি করেছে।
তখন থেকে ইউরোপের তিন শক্তিধর দেশ জার্মানি, বৃটেন ও ফ্রান্স (একত্রে পরিচিত ‘ই৩’ নামে) হুমকি দিয়ে আসছে যে, তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আবারও চালু করতে পারে। ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতি আগস্টের শেষ নাগাদ ইরানের ওপর পুরনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালুর সুযোগ রয়েছে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ই৩ দেশগুলো এই ব্যবস্থা চালু করলে তার পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান।
একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘ই৩ দেশগুলোর চুপচাপ বসে থাকার সুযোগ নেই।’
তিনি জানান, বৈঠকে তেহরানকে জানিয়ে দেওয়া হবে, এই অক্টোবরেই ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা চালুর সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।
সূত্রটি জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে ইউরোপের দেশগুলো আবারও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চালুর (স্ন্যাপব্যাক) প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমানো ও জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা আবার শুরু করতে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সিনিয়র কূটনীতিক মাজিদ তাখত-রাভানচির সঙ্গে শুক্রবারের আলোচনায় অংশ নেবেন।
তিনি এই সপ্তাহে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা চালু করার চেষ্টা পুরোপুরি বেআইনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে একপাক্ষিকভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দিয়েছে।
ঘারিবাবাদি বলেন, ‘আমরা তাদের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছি, কিন্তু এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমঝোতার পথ খুঁজছি।’