বাসস
  ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪

ব্রাজিলের বাণিজ্য পদ্ধতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে ব্রাজিলের ‘অন্যায্য বাণিজ্য পদ্ধতির’ বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র এ কথা জানিয়েছে বলে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ব্রাজিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার ডানপন্থী মিত্র ও ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে একটি কথিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত করার কারণে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষুব্ধ হন।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতর (ইউএসটিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি ও কর্মকাণ্ড কি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের উপর ‘অযৌক্তিক বা বৈষম্যমূলক চাপ সৃষ্টি করছে’ তা যাচাই করা হবে।

তারা আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোর ওপর ব্রাজিলের আক্রমণও তদন্তের আওতায় আসবে। 

গত বছর এলন মাস্ক ও এক ব্রাজিলীয় বিচারকের মধ্যে বিরোধের জেরে দেশটি টুইটার (বর্তমানে এক্স) বন্ধ করেছিল।

এই তদন্তটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকশন ৩০১’ বাণিজ্য আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলাফল অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেমন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। 

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, ‘আমি নির্ধারণ করেছি যে ব্রাজিলের শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাধাগুলোর একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং সম্ভব হলে প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপও প্রয়োজন হতে পারে।’

তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে এই তদন্ত শুরু হয়েছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ব্রাজিলীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত অবস্থানে রয়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প বলসোনারোর প্রতি আচরণকে ‘আন্তর্জাতিক লজ্জা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

বলসোনারো ২০২২ সালের নির্বাচনে লুলার কাছে অল্প ভোটে হেরে যাওয়ার পর অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।

ট্রাম্পের শুল্ক চিঠির জবাবে লুলা সম্ভাব্য প্রতিদানের বিষয়ে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে ‘যেকোন একতরফা শুল্ক বৃদ্ধি ব্রাজিলের অর্থনৈতিক পারস্পরিক আইনের আলোকে মোকাবেলা করা হবে।’