বাসস
  ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৩:১৬

দক্ষিণ সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে

ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদার প্রদেশে বেদুইন ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১শ’ জনে পৌঁছেছে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সিরিয়ার সরকার এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে।  

সোমবার দ্রুজ সশস্ত্র গোষ্ঠীর উদ্ধৃতি দিয়ে দামেস্ক থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।

স্থানীয় যোদ্ধা এবং বেদুইন গোত্রের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দ্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত রোববার থেকে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৯৯ জন নিহত হয়েছে।

দ্রুজ সশস্ত্র গোষ্ঠী 'মেন অফ ডিগনিটি' আন্দোলনের মুখপাত্র বাসেম ফখর বলেছেন, ‘একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সুইদা শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ নিরাপত্তা (বাহিনী) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে’।

সোমবার সন্ধ্যায় দ্রুজ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এলাকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে তারা সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করছে না।

ফখর বেদুইন যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দ্রুজ শহরগুলোতে আক্রমণে সরকারি বাহিনীর সাথে অংশগ্রহণ এবং  দ্রুজ গ্রামগুলোতে ‘হত্যা, লুটপাট এবং পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, সুইদার আশেপাশের পাঁচটি শহর সরকারি বাহিনী দখল করছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা বলেছেন, তিনি ট্যাঙ্কসহ সিরিয়ার বাহিনী সুইদার কাছে আল-মাজরা গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেখেছেন। এখানে বেদুইন যোদ্ধারা  আগে থেকেই অবস্থান করছিল।

ফখর এএফপিকে বলেন, তার আন্দোলন দামেস্কের বিরোধী নয় এবং তারা, অন্যান্য দ্রুজ গোষ্ঠীর সাথে, ‘কয়েক মাস আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যেখানে সুইডার বাসিন্দাদের নিয়ে একটি সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থা গঠনের শর্ত দেওয়া হয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রকে সমর্থন করি, কিন্তু রাষ্ট্র এই চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে’।

জানুয়ারিতে, মেন অফ ডিগনিটি, সেইসাথে সুইডার আরেকটি বৃহৎ দ্রুজ গোষ্ঠী মাউন্টেন ব্রিগেড বলেছিল যে দেশের নতুন ইসলামপন্থী কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের হাতে দীর্ঘদিনের নেতা বাশার আল-আসাদের পতনের পর তারা জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত।