শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ২১ মাস ধরে চলা তীব্র লড়াই বন্ধ করার প্রচেষ্টায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাতারের দোহায় আলোচনা চলছে। হামাস এবং ইসরাইল শনিবার একে অপরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ফলে, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
কাতারে পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে অবগত একটি ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডে ইসরাইলের সৈন্য রাখার প্রস্তাব ৬০ দিনের বিরতির জন্য একটি চুক্তিকে আটকে গেছে।
তবে ইসরাইলি পক্ষের এক ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক কর্মকর্তা আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামাসের অনমনীয়তা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে একটি চুক্তিকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার গাজায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছে। ইসরাইল বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থলে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে।
গাজা শহরের বসবাসকারী বাসাম হামদান এএফপিকে বলেন, আমরা যখন ঘুমাচ্ছিলাম, তখন একটি বিস্ফোরণ ঘটে। দুই ছেলে, একটি মেয়ে এবং তাদের মা অবস্থান করছিলেন’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের ছিন্নভিন্ন অবস্থায় দেখতে পেয়েছি, তাদের দেহাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে’।
দক্ষিণ গাজায় মৃতদেহ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে সরকারের কাছে জিম্মি মুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছে।
হামাস এবং ইসরাইল উভয়ই বলেছে, যদি একটি চুক্তি হয় তাহলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যোদ্বাদের হামলার পর থেকে আটক ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।