বাসস
  ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে : উরসুলা ফন ডের লায়েন

ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডের লায়েন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার ফোনে বাণিজ্য ইস্যুতে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করেছেন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র স্টেফান ডি কেয়ারসমেকার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য নির্ধারিত ৯ জুলাইয়ের সময়সীমার আগেই একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইইউর ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে বাণিজ্যনীতি পরিচালনা করে ইউরোপীয় কমিশন। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে কমিশন। এই চুক্তি না হলে ইইউ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগে একবার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছিলেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ফন ডের লায়েন ইইউ নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

এদিকে, রোববার হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ঘোষণা দেন, যদি ইইউসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদাররা সময়মতো কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে।

এই ঘোষণার পর, ইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এখনো ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা মাথায় রেখে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইইউর বাণিজ্য মুখপাত্র ওলফ গিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনার প্রশ্নের উত্তর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন দিতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বুধবারের (৯ জুলাই) মধ্যে একটি নীতিগত সমঝোতায় পৌঁছানো এবং আমরা সে লক্ষ্যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি।’

কমিশনের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ওই চুক্তি নীতিগত হলেও বিস্তারিত বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা প্রয়োজন হবে। তবুও, ইইউর বিশ্বাস যে কোনো পরিস্থিতিতেই ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতা কিছুটা থেকেই যাবে।

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় কমিশনের বাণিজ্যপ্রধান মারোশ শেফচোভিচ গত কয়েক মাসে একাধিকবার মার্কিন সমকক্ষদের সঙ্গে দেখা ও ফোনে কথা বলেছেন। তবে জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প ও ভন ডের লায়েনের সরাসরি যোগাযোগ খুব কমই হয়েছে।

যদিও সম্প্রতি মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইইউ প্রধান ফন ডের লায়েনকে ‘চমৎকার’ বলে উল্লেখ করেন, যা দুই পক্ষের সম্পর্কে কিছুটা ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।