বাসস
  ২৮ জুন ২০২৫, ২৩:২৬

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে সুদানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

প্রতীকী ছবি

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) :  গত বছর সুদানের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে খার্তুমের সামরিক বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে- এমন অভিযোগে দেশটির সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তা শুক্রবার কার্যকর করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় খার্তুম সরকারের জন্য মার্কিন রপ্তানি, অস্ত্র বিক্রি এবং অর্থায়নে সীমাবদ্ধতা জারি থাকবে এবং তা অন্তত এক বছর বলবৎ থাকবে।

তবে ‘জরুরি মানবিক সহায়তা, খাদ্য এবং কৃষিপণ্য বা পণ্যের’ ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে কিছু নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে শিথিল করার কথাও বলা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, সুদান সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী তাদের দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোপন সূত্রের বরাতে বলা হয়, সুদানের সামরিক বাহিনী দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে অন্তত দুইবার ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে। ক্লোরিন গ্যাস শ্বাসকষ্ট, শারীরিক যন্ত্রণা ও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

তবে খার্তুম সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বাস্তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সীমিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সুদানের সামরিক প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগলো উভয়েই ইতোমধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে ক্ষমতা-সংক্রান্ত বিরোধ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়। এই সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং ১৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট।