বাসস
  ২৭ জুন ২০২৫, ১১:৩০

গাজায় বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থাকে ৩ কোটি ডলার অনুদান যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজায় ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত এক ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচির জন্য প্রথমবারের মতো সরাসরি অর্থায়ন অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি অন্য দেশগুলোকেও এ কর্মসূচিকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনকে ৩ কোটি ডলার অনুদান অনুমোদন করেছি। একইসঙ্গে আমরা অন্যান্য দেশগুলোকেও গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি’। 

মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায় খাদ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ করে দেয়। এই অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট ও অপুষ্টির আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর ৭ তারিখ ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইল পাল্টা বোমা হামলায় গাজাকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন, যা ইসরাইলি সৈন্যদের পাহারায় থাকা সশস্ত্র মার্কিন ঠিকাদারদের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে, মে মাসের শেষে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তবে এ কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা, প্রাণহানির ঘটনা এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিক থেকে, প্রায় ৫৫০ জন মানুষ সাহায্য কেন্দ্রের কাছে নিহত হয়েছে।

তবে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন তাদের ত্রাণ বিতরণ স্থানগুলোর আশেপাশে কোনো প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটার কথা অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘ ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের মতে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ করা, মানবিক সহায়তার নিরপেক্ষতা ও মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সমালোচনার বিষয়ে পিগট বলেন, সংস্থাটি এখন পর্যন্ত  ৪ কোটি ৬০ লক্ষ খাবার বিতরণ করেছে যা ‘অবিশ্বাস্য’ এবং ‘প্রশংসার দাবি রাখে’।

পিগট আরও বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই, আমরা বলেছি,  আমরা সৃজনশীল সমাধানের জন্য উন্মুক্ত যা গাজার লোকদের নিরাপদে সাহায্য প্রদান করে এবং ইসরাইলকে রক্ষা করে’। 

তিনি বলেন, জিএইচএফ’কে আর্থিক সহায়তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ‘এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ কাজ করার একটি অংশ।