শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জাপান বুধবার জানায়, দেশটি নিজস্ব ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ভূমি থেকে জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপন করেছে। বর্তমান গুরুতর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় চীনকে মোকাবেলা করার জন্য সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এটি একটি প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ বলে উল্লেখ করেছে সরকার।
টোকিও থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপে একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি থেকে জাপান গ্রাউন্ড সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিজিএসডিএফ) একটি ‘টাইপ-৮৮’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রশিক্ষণমূলকভাবে নিক্ষেপ করে জাপান। যা প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে গিয়েছিল।
জাপান সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ঘাঁটিগুলোতে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু এসব মহড়া ব্যয়বহুল এবং অংশগ্রহণকারী সদস্যের সংখ্যাও সীমিত হয়।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বুধবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এ ধরনের ঘরোয়া লাইভ-ফায়ার মহড়া আরও বেশি সৈন্যের প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে দ্বীপ ও অন্যান্য অঞ্চল রক্ষায় সক্ষমতা বজায় রাখা ও উন্নত করার জন্য এ ধরনের মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তিনি জানান এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়। তবে জাপান পূর্বেও চীনকে তাদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ, বেইজিং এ অঞ্চলে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম জানায়, মার্কিন ঘাঁটি ব্যবহারে খরচ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়ন।
জাপান বর্তমানে ধাপে ধাপে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে যা ন্যাটোর মান অনুযায়ী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় দুই শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
এছাড়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক জোটকে আরও শক্তিশালী করছে। যাতে চীনের সম্ভাব্য হুমকি, বিশেষ করে তাইওয়ান আক্রমণের মতো পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।