শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার কিয়েভ থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।
তারা জানায়, রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে রাজধানী কিয়েভে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানানোর একদিন পরই নতুন এই হামলা হল।
তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা স্থগিত হয়ে পড়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শেষ সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী কোনও আলোচনার সময়সূচি দেওয়া হয়নি।
সুমি অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ গ্রিগোরভ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য আছে। তাদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ছেলেটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ‘এই হামলায় বিভিন্ন পরিবারের মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তারা সকলেই একই এলাকায় বাস করত। তারা তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল কিন্তু রাশিয়ান ড্রোন তাদের ঘুম চিরতরে কেড়ে নিয়েছে।’
মেয়র গ্রিগোরভ টেলিগ্রামে আরও জানান, হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’।
খারকিভ নগরীর মেয়র টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, সেখানেও ও রুশ ড্রোন হামলার তিনজন আহত হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে যে সোমবার রাতে মস্কোর একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে এক ড্রোন হামলা চালানো হলে একজন গর্ভবতী নারীসহ দুইজন আহত হয়েছেন। ৩০ জন শিশুসহ প্রায় ১০০ জনকে ভবনটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ভোরোবিভ জানান, আরও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
রাশিয়া একদিন আগে ইউক্রেনে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে কিয়েভের একটি আবাসিক ভবন ভেঙে পড়ে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় ও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ ওদেসা অঞ্চলে সোমবার পৃথক রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত ও আরও ডজন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, একটি স্কুলে আঘাত হেনেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কিছু লোক আটকা পড়ে থাকতে পারে।’ সোমবার লন্ডনে আকস্মিক সফরকালে জেলেনস্কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সাথে দেখা করেন।
মঙ্গলবার থেকে হেগে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের কথা রয়েছে জেলেনস্কির।
রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে। ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবি করেছে । ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ছাড়াও তারা ওই অঞ্চলগুলো সংযুক্তির দাবি করে।
কিয়েভ অভিযোগ করেছে যে মস্কো তার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ দীর্ঘায়িত করতে এবং আরও অঞ্চল দখল করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে একটি শান্তি চুক্তিকে নস্যাৎ করছে।