শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জুন, ২০২৫ (বাসস): ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কালাস সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তা হবে ‘চরম বিপজ্জনক’।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠককে সামনে রেখে কায়া কালাস সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশোধ ও এই যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা অত্যন্ত গুরুতর। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি হবে খুবই বিপজ্জনক এবং এটা কারো জন্যই ভালো হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র রোববার ভোরে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর পর তেহরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয় এমন জলপথটি বন্ধ করে দিতে পারে।
এ অবস্থায় ইরানকে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে চীনকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় যুক্ত হওয়ার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
কায়া কালাস বলেন, মন্ত্রীদের মূল মনোযোগ এখন কূটনৈতিক সমাধানের ওপর। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও ইউরোপ সব পক্ষকে পিছু হটতে এবং এবং আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জানান, তিনি শুক্রবার জেনেভায় ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ কূটনীতিকদের নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় পক্ষ থেকে এই সংলাপের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে একটি কূটনৈতিক সমাধান আসতেই হবে। ইরান আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হলে আমাদের সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
রোববার ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন যৌথভাবে ইরানকে অনুরোধ জানায়, সংঘাত পরিস্থিতি যাতে আর না বাড়ানো হয়, যা এ অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে।
ব্রাসেলসে এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল বারো বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখতে ইউরোপ দীর্ঘদিনের আলোচনার অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, এই সমস্যার কোনো স্থায়ী সামরিক সমাধান নেই। কেবল আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর দীর্ঘমেয়াদি সীমা আরোপ করা সম্ভব।
ব্যারো বলেন, আমরা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করি। বোমা হামলা করে সরকার বদলানো যাবে—এমন ধারণা বিভ্রান্তিকর এবং বিপজ্জনক।