শিরোনাম
ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন।
নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জেলা জজ অ্যালিসন বারোজের এই আদেশের ফলে বিদেশী ছাত্ররা হার্ভার্ডের দায়ের করা মামলা আদালতে চলমান থাকাকালীন অভিজাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।
ট্রাম্প হার্ভার্ডের জন্য ফেডারেল অনুদান কমিয়ে দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আতিথেয়তা থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে আটকাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তিনি বলেছেন, তার প্রশাসন হার্ভার্ডের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছার লক্ষে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্প শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে বলেন, অনেক মানুষ জিজ্ঞাসা করছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ঘটছে; আমরা তাদের বড় আকারের অনিয়ম পেয়েছি এবং এর সমাধান খুঁজছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা হার্ভার্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং এটা খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে বা কিছু দিনের মধ্যে একটি চুক্তি ঘোষণা করা হবে’।
‘যদি বর্তমানে আলোচনার ভিত্তিতে একটি সমঝোতা করা হয়, তাহলে এটি 'অবাক করার মতো' ঐতিহাসিক হবে এবং আমাদের দেশের জন্য খুবই ভালো হবে।’
ট্রাম্প কথিত ‘চুক্তি’ সম্পর্কে কোনও বিবরণ দেননি।
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ছাত্র অভিবাসন রেজিস্ট্রি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আশায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করার জন্য দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
হার্ভার্ড এই প্রচেষ্টাগুলোকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে যুক্তি দিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করে।
এর আগে হার্ভার্ড বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বুরোস থেকে দুটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং বিচারক শুক্রবার প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তা বাড়িয়েছেন।
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ডে মোট ভর্তির ২৭ শতাংশ ছিল বিদেশী ছাত্র এবং তারা আয়ের একটি প্রধান উৎস।
আদালতে দায়ের করা মামলায় হার্ভার্ড যুক্তি দেয়, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ‘হার্ভার্ডের প্রথম সংশোধনীর অধিকার অনুযায়ী পরিচালনা পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম এবং এর অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের 'মতাদর্শ' নিয়ন্ত্রণর সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করার জন্য প্রয়োগের প্রতিশোধ’।
আদালতে দায়ের করা মামলায় হার্ভার্ড যুক্তি দেয়, ট্রাম্পের পদক্ষেপ "হার্ভার্ডের প্রথম সংশোধনী অধিকার অনুযায়ী এর পরিচালনা পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম এবং এর অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের 'মতাদর্শ' নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করার অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ।"
বিদেশী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচারণার পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে উপকৃত করার জন্য প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল অনুদান এবং চুক্তিও কমিয়েছে এবং ভবিষ্যতের যেকোনো ফেডারেল তহবিল থেকে এটিকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছে।
ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা দাবি করেন, হার্ভার্ড এবং অন্যান্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় উদারপন্থী, এদের রক্ষণশীলতা-বিরোধী পক্ষপাত রয়েছে এবং এন্টি সেমিটিজমের জবাবদিহিতাহীন ঘাঁটি।